This blog have moved to FFTsys's domain. Newer posts will appear on the new URL of the blog. Thanks for visiting.

Thursday, July 22, 2010

শেষের কবিতা: শেষের কবিতা


কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও?
তারি রথ নিত্যই উধাও
জাগাইছে অন্তরীক্ষে হৃদয়স্পন্দন-
চক্রে পিষ্ট আঁধারের বক্ষফাটা তারার ক্রন্দন।
ওগো বন্ধু,
সেই ধাবমান কাল
জড়ায়ে ধরিলো মোরে ফেলি তার জাল-
তুলে নিল দ্রুত রথে
দুঃসাহসী ভ্রমনের পথে
তোমা হতে বহু দূরে।
মনে হয় অজস্র মৃত্যুরে
পার হয়ে আসিলাম
আজি নব প্রভাতের শিখরচুড়ায়;
রথের চঞ্চল বেগ হাওয়ায় উড়ায়
আমার পুরানো নাম।
ফিরিবার পথ নাহি;
দূর হতে যদি দেখো চাহি
পারিবে না চিনিতে আমায়।
হে বন্ধু বিদায়।

কোনোদিন কর্মহীন পূর্ণ অবকাশে
বসন্ত-বাতাসে
অতীতের তীর হতে যে রাত্রে বহিবে দীর্ঘশ্বাস,
ঝরা বকুলের কান্না ব্যথিবে আকাশ,
সেই ক্ষণে খুঁজে দেখো, কিছু মোর পিছে রহিল সে
তোমার প্রাণের প্রানে-; বিস্মৃতি প্রদোষে
হয়তো দিবে সে জ্যোতি,
হয়তো ধরিবে কভু নামহারা স্বপ্নের মুরতি।
তবু সে তো স্বপ্ন নয়,
সবচেয়ে সত্য মোর, সেই মৃত্যুঞ্জয়-
সে আমার প্রেম,
তারে আমি রাখিয়া এলেম
অপরিবর্তন অর্ঘ্য তোমার উদ্দেশ্যে।
পরিবর্তনের স্রোতে আমি যাই ভেসে
কালের যাত্রায়।
হে বন্ধু, বিদায়।

তোমার হয় নি কোনো ক্ষতি।
মর্তের মৃত্তিকা মোর, তাই দিয়ে অমৃতমুরতি
যদি সৃষ্টি করে থাক, তাহারি আরতি
হোক তব সন্ধ্যাবেলা-
পূজার সে খেলা
ব্যাঘাত পাবে না মোর প্রত্যহের ম্লানস্পর্শ লেগে;
তৃষার্ত আবেগবেগে
ভ্রষ্ট নাহি হবে তার কোনো ফুল নৈবেদ্যের থালে।
তোমার মানস ভোজে সযত্নে সাজালে
যে ভাবরসের পাত্র বাণীর তৃষায়
তার সাথে দিব না মিশায়ে
যা মোর ধুলির ধন, যা মোর চক্ষের জলে ভিজে।
আজও তুমি নিজে
হয়তো বা করিবে রচন
মোর স্মৃতিটুকু দিয়ে স্বপ্নবিষ্ট তোমার বচন।
ভার তার না রহিবে, না রহিবে দায়।
হে বন্ধু, বিদায়।

মোর লাগি করিয়ো না শোক-
আমার রয়েছে কর্ম, আমার রয়েছে বিশ্বলোক।
মোর পাত্র রিক্ত হয় নাই,
শূন্যের করিব পূর্ণ, এই ব্রত বহিব সদাই।
উৎকণ্ঠ আমার লাগি কেহ যদি প্রতীক্ষিয়া থাকে
সেই ধন্য করিবে আমাকে।
শুক্লপক্ষ হতে আনি
রজনীগন্ধার বৃন্তখানি
যে পারে সাজাতে
অর্ঘ্যথালা কৃষ্ণপক্ষ রাতে,
যে আমারে দেখিবারে পায়
অসীম ক্ষমায়
ভালোমন্দ মিলায়ে সকলি,
এবার পূজায় তারি আপনারে দিতে চাই বলি।
তোমারে যা দিয়েছিনু তার
পেয়েছে নিঃশেষ অধিকার।
হেথা মোর তিলে তিলে দান,
করুণ মুহুর্তগুলি গণ্ডুষ ভরিয়া করে পান
হৃদয় অঞ্জলি হতে মম।
ওগো তুমি নিরুপম,
হে ঐশ্বর্যবান,
তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারি দান;
গ্রহন করেছ যত ঋণি ততো করেছ আমায়।
হে বন্ধু বিদায়।

বন্যা
২৫ জুন ১৯২৮
ব্যালাবুয়ি। বাঙ্গালোর।

শেষের কবিতায় অমিতকে লাবণ্যের শেষ চিঠি; এক পৃষ্ঠে বিবাহ বার্তা অন্যপৃষ্ঠে এক অতুলনীয় প্রেমের কবিতা।

-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(৭ই মে, ১৮৬১ - ৭ই আগস্ট, ১৯৪১) (২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ - ২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)


বাংলা কবিতা: অনন্ত প্রেম


তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি শত রূপে শতবার
জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।
চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয় গাঁথিয়াছে গীতহার–
কত রূপ ধরে পরেছ গলায়, নিয়েছ সে উপহার
জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।

যত শুনি সেই অতীত কাহিনী, প্রাচীন প্রেমের ব্যথা,
অতি পুরাতন বিরহমিলন কথা,
অসীম অতীতে চাহিতে চাহিতে দেখা দেয় অবশেষে
কালের তিমিররজনী ভেদিয়া তোমারি মুরতি এসে
চিরস্মৃতিময়ী ধ্র“বতারকার বেশে।

আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি যুগলপ্রেমের স্রোতে
অনাদি কালের হৃদয়-উৎস হতে।
আমরা দুজনে করিয়াছি খেলা কোটি প্রেমিকের মাঝে
বিরহবিধুর নয়নসলিলে, মিলনমধুর লাজে–
পুরাতন প্রেম নিত্যনূতন সাজে।

আজি সেই চির-দিবসের প্রেম অবসান লভিয়াছে,
রাশি রাশি হয়ে তোমার পায়ের কাছে।
নিখিলের সুখ, নিখিলের দুখ, নিখিল প্রাণের প্রীতি,
একটি প্রেমের মাঝারে মিশেছে সকল প্রেমের স্মৃতি–
সকল কালের সকল কবির গীতি।

-- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(৭ই মে, ১৮৬১ - ৭ই আগস্ট, ১৯৪১) (২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ - ২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)


Thursday, June 3, 2010

অনেক মৃত্যু, একটি হেডলাইন তারপরই হারিয়ে যাওয়া

সন্ধা সাতটা। ঘুম থেকে উঠার পর বারান্দায় আসলাম। প্রতিদিনকার মত প্রকৃতিকে একটু সময় দেয়া, হাই বলা। উৎসাহ নিয়ে ঘন সবুজের দিকে তাকিয়ে তাকা।

হঠাৎ করে ঝড়ো হাওয়া বইতে লাগল। উড়িয়ে দিতে চাইল সবকিছু। অসচেতন লোকজনের বাইরে নেড়ে দেয়া জামাকাপড় সব উড়িয়ে নিয়ে ফেলতে লাগল যেখানে খুশী। দরজা জানালা দিয়ে তীব্রভাবে বয়ে আসতে লাগল ধূলো ময়লা। আমি দরজা জানালা লাগিয়ে দিয়ে বাইরে এসে দেখতে লাগলাম কান্ডকারখানা। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আকাশে গর্জন এবং হঠাৎ করে ঝুম বৃষ্টি। এরকম বৃষ্টির নাম দিয়েছিলাম আমি সারপ্রাইজ বৃষ্টি, যে বৃষ্টি মাঝে মাঝে আমাদের সারপ্রাইজ দিতে চায়।

বৃষ্টি থেমে গেল। ৯টার দিকে আমি নিচে নামলাম। ক্যান্টিনের সামনে গিয়ে এত আলো দেখে পেছনে তাকালাম। তাকিয়ে দেখি এক প্রকান্ড আগুন ঠিক আমাদের হলের পেছনে। দাউ দাউ করে জ্বলছে। সবাই আগুন আগুন চিৎকার করে সামনের দিকে দৌড়ে পালাচ্ছে। ফজলুল হক হলের ছাত্ররা ভেবেছে আমাদের হলে আগুন লেগে গেছে। এত বড় আগুনের ফুল্কি কেউ আগে দেখে নি! বড় বড় সব বহুতল ভবনের চূড়া ডিঙিয়ে অসীম স্পর্ধা নিয়ে বিপুল উৎসাহে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। চারপাশের সবকিছু আলোকিত হয়ে গেছে। মানুষজন নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে নিরাপদ অনুভব করার পর বিস্ময় নিয়ে ভাবছে ঠিক কোথায় লেগেছে এই ধ্বংসাত্মক ভয়ংকর আগুন।


[Image included from bdnews]

আমাদের হলের পেছনে চানখারপুল মোড়ে একটি পেট্রোল পাম্প আছে। আমি প্রথমটায় ভাবলাম সেটাতে বুঝি আগুন লেগেছে। পেট্রোল পাম্পের সামনে গিয়ে দেখি সেটাতে কিছুই হয় নি। আগুন আরো পিছনে। চানখারপুলের রাস্তার ওপাশের ভবনগুলোতেও নয়, আরো ওপাশে। চানখারপুলের ভিতরে নিমতলীতে।

কত বড় ধরনের অগ্নিকান্ড হলে সেটা এত দূর থেকেও স্পষ্ট দেখা যায় এবং দূরত্বকে ভ্রম করে দেয়! ঘটনাস্হলে গিয়ে শুনলাম প্রায় শ’খানেকের ওপর লোক মারা গেছে। শোকাগ্রস্হ পুলিশ, শোকাগ্রস্হ মানুষজন তাকিয়ে দেখছে সামনের ঘটে যাওয়া সব অবিশ্বাস্য দৃশ্য। একটি একটি করে লাশ উদ্ধার করে গাড়িতে তুলা হচ্ছে। ঝামেলা এড়াতে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

লোকজন এসে পুলিশকে অনুরোধ করছে। “আমার আত্মীয় আগুনে পুড়ে গেছে। আমি কি একটু দেখতে পারি ওখানে আছে কিনা?”

পাশেই ঢাকা মেডিকেলে গাড়ি করে চলে যাচ্ছে মৃত সব মানুষের দল একটু আগেও নাকি তারা জীবন্ত ছিল। ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরিত হয়ে যখন গ্যাসলাইনে আগুন ধরে সে এক তীব্র আকার ধারণ করল ততক্ষণে সবমানুষ বের হতে পারল না। অনেকে এত ক্ষুদ্র সময়ে টেরই পেল না। কিন্তু আটকা পড়ে গেল। কেউ অক্সিজেনের অভাবে দমবন্ধ হয়ে মারা গেল আর কেউ পুড়ে।

বস্তির মত পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা ৪-৫টি ভবনে লেগেছে আগুন। তার মাঝে আমাদের মত মানুষ ছিল। আমাদের মত জীবন। অনেক জীবন ঝড়ে গেছে। মুহূর্তের মাঝে বন্ধ হয়ে গেছে আগুনের মাঝে ঝলসে যাওয়া সব চিৎকার! শেষ হয়ে গেছে জীবনের সব টেনশন।

কত তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কত সিরিয়াস আমরা! লক্ষে পৌঁছানোর টেনশানে হয়ে যেতে চাই কখনো নি:শেষ। তুচ্ছ প্রেমের জন্য কতজনই তো দিয়ে দিতে চায় জীবন। অথচ জীবন একবারই আসে বারবার নয়।

ঢাকা শহর তো বসবাসের অনুপযোগী বেশ আগে থেকেই। একটি বড় ভূমিকম্প হলে কি পরিণতি দাঁড়াবে তা কল্পনাতীত! অপরিকল্পিত স্হাপনা এবং অনিরাপদ জীবনব্যবস্হার সংস্কৃতি চলতে থাকলে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে বারবার। হুজুরের মত পরিহিত একজন লোক বলছিলেন এভাবে যারা মারা গেল তারা তো শহীদ, বেহেস্ত গেল! একবারের জন্য মনে হল বাহ! বেহেস্ত যাওয়া তো খুব সোজা। পরে মনে হল থাক দরকার নাই। ধর্মীয় কুসংস্কার অপেক্ষা জীবনের মূল্য অনেক বেশী।

সেইন্ট আতিক  
৩ জুন ২০১০

Tuesday, May 18, 2010

আলো-১ (Enlightment Part - 1)

উষ্ঞ বাতাস, সুনীল আকাশ
হেঁটে যাই আমি খরতপ্ত পথ,
স্মৃতির পৃষ্ঠা উল্টে যায় অনবরত।

গম্ভীর মুখে বলতাম,
বায়বীয় এ আকাশ ভাঙতে কিভাবে পারে?
আমার অবাক বিস্ময়;
যেভাবে বলা যায় কোন তীব্র হাসির কৌতুক,
হাসিতো হাসি! আমার মতই লুটিয়ে পড়ত আড্ডাবাজ বন্ধুরা সব।

আকাশ ভাঙ্গার সংজ্ঞা আমি বুঝলাম সেদিন,
হলাম যখন পিতৃবিহীন!
বেদনা ছিল রয়ে রয়ে,
ভাবনা আমার স্তব্ধ হয়ে,
সাদা কাফনের নীচে মোড়ানো এ কে?
আমি উঠি চমকে?
এখনি আমায় আগের মত বলবে,
“অর্থের জন্য নয়, আলোকিত হওয়ার জন্য পড়।”

কখনো কি আর চিন্তারক্ত বদনে শুনাবেন দর্শনকথা?
দেখাবেন একটুকু বেহালা বাজানোর জন্য
(অসুস্হ কি! নন?) অপরিমেয় ব্যাকুলতা।

নিজের খরচের টাকাটি
আমাকে দিবেন মাসটি
চালিয়ে নিতে;
লাঘব করতে আমার কষ্ট কিছু অমোঘ শান্তনার বাণী!

আপনাকে কিছুই করতে হবে না।
শুধু যেভাবে মেরেছিলেন প্রথমবার
ধরিয়েছিলাম বলে সিগারেটে নিষিদ্ধ আগুন,
আমার গালে বসিয়ে দিন আরেকটি থাপ্পড়,
আমাকে দিন আরো কিছু মার,
করুন যদিবা করতে কিছু হয় চুরমার।
তবু ক্ষেম আমার অপরাধ।

কত মুহূর্ত কেটেছে,
সে আর বাবা নয়।
সবাই বলছিল
সে নাকি এক নিস্পৃহ, প্রাণহীন মাংসপিন্ড।

যে বাবাকে এই ধরণীতে পেয়েছি
যেমনি তিনি আমার স্মৃতিতে আজো অম্নান,
আমি বিশ্বাস করি না,
সে বাবাকে ফিরিয়ে দিতে পারবে আর কোন পুনরুত্থান!

সেইন্ট আতিক
১৭ মে ২০১০

If Unicode Bangla is not displayed correctly in your browser follow here. [This blog is best viewed in font "Bangla". Click to download font.]

Friday, April 23, 2010

Enlightened Depressed

This is a letter extracted from 'Write to Mita' section of the STAR, a magazine of The Daily Star published today.

Dear Mita,
I am Muslim by birth but my education, knowledge and surrounding environment has led me to become an atheist. I have been in a relationship with my girlfriend for a year but after discovering that I am an atheist she couldn't accept it and broke up with me. She even cursed me, saying I would never be happy in life with any woman because I'm an atheist. I am in terrible despair as this was my first love. I do a lot of philanthropic work and strongly believe in humanity, yet why do people hate me?
Enlightened Depressed


Dear Depressed,
If you have made a choice to be an atheist then you have to live with it. Being different or going against the stream is always difficult and challenging. However, you must be sensitive to the environment around you. There is no need to flout your atheist values around. Regarding your girlfriend, it is sad but perhaps she could not adjust to this reality and perhaps it is best that you parted now. You philanthropic work is indeed commendable and your concern for humanity I think is a religion by itself.

Thursday, April 8, 2010

Imagine by John Lennon


Imagine there's no Heaven
It's easy if you try
No hell below us
Above us only sky
Imagine all the people
Living for today

Imagine there's no countries
It isn't hard to do
Nothing to kill or die for
And no religion too
Imagine all the people
Living life in peace

You may say that I'm a dreamer
But I'm not the only one
I hope someday you'll join us
And the world will be as one

Imagine no possessions
I wonder if you can
No need for greed or hunger
A brotherhood of man
Imagine all the people
Sharing all the world

You may say that I'm a dreamer
But I'm not the only one
I hope someday you'll join us
And the world will live as one.




                      [Click image to enlarge]



Imagine Song by Avril Lavigne [Official Video]


Imagine by John Lennon [Official Video]

Here is the original video of Imagine song by John Lennon
      http://www.youtube.com/watch?v=6GAHFrLAxzM&feature=fvst

Wednesday, April 7, 2010

অ্যাকুয়ারিয়াম (Aquariam)

কাক-পক্ষির এই শহরে কাক দেখি,
     আর হই আমি বিরক্ত
বিষ্ঠা উপহারে উড়ো দিয়ে যায় যখন
     মনে হল বলল এমন,
“তোমরা নোংরা, তোমাদের আবর্জনা পরিস্কার করি; পরিস্কার করি;
তোমাদের প্রতি আমিও অনেক বিরক্ত!”

প্রতিটি সুন্দরের বিপরীতে আছে সমান কুৎসিত চিত্র,
সুন্দরী নারী? অপ্সরীর মত?
ঘিলু নাই? গড়ের মাঠ?
নাকি আছে বলে খুশী! চুকে গেল পাঠ?
পরীক্ষা করে দেখ নৈতিক চরিত্র।

তাই স্বাধীন মাটির ওপর হেঁটে,
নেচে গেয়ে করি নানা কুকৃত্য,
মা(জন্মভূমি) ধিক্কার দিয়ে বলে উঠে
তোরাই আমাকে পুন:পরাজিত করেছিস!
আমার মাঝে তোরাই যে হলি কদর্য!

চাপাবাজদের পাল্লায় পড়ে সেদিন পাখি বৌকথাকও,
বিরক্ত হয়ে অবাক চোখে বলে “কত কথা কয়!”
মুগ্ধনয়নে নারীর দিকে তাকাই যখন
খুঁজি অপার সৌন্দর্য্য,
সেও ভাবে নাকি,
“নর তোমার সু্ন্দর চোখ, অধর এবং ওষ্ঠ্য!”

তাই যদি হয় সব একশনের সমান রিএকশান
দুর্ভাগাদের এত দু:খের পরেও কেন দু:খের
     হয় না অবসান?

স্বচ্ছ শিল্পময় কৃত্রিম জলাধারে
এতটুকুন মাছ উঁকি দিয় বলে কিনা,
“এত বুঝুন! আর এইখানি বুঝলেন না!
পৃথিবীটা উপবৃত্তীয় হলে কি হবে!
ঠিকই সে এক মস্ত অ্যাকুয়ারিয়াম।
তার মাঝে সাঁতার কাটে দুপেয়ে মৎস্য,
হাজারে হাজারে মিলিয়নে বিলিয়ান!“

সেইন্ট আতিক
৪ এপ্রিল ২০১০