“সাবাস, বাবু! আরেকটু হেঁটে এসো!
ধরো রঙিন ফুলটা।“
কষ্ট করে ব্যালান্স করে বাড়িয়েছি
পা আরেকটা।
এইভাবে হাঁটতে শিখেছি
হাঁটি হাঁটি পা পা।
মনে আসে বারবার
স্মৃতি থাকে না তো চাপা!
আশা নিয়ে বসে থাকি ডিসকাশন টেবিলে,
ভাবি বন্ধুদের নিয়ে ক্লাস্ শেষ করে এই তুমি এলে!
হৃদয় তিয়াশা মিটাব
তোমায় দেখব নয়ন ভরে!
হর-রোজ তুমি পার হয়ে যাও আমায় অবহেলে,
মুখে ব্যস্ততা আর অহংকারে নয়ন রাঙিয়ে।
বন্ধুরা বলে, “"কিরে গর্দভ, ডিপার্টেড হয়ে গেলি নাকি!
যাবি না ডিপার্টমেন্ট ছেড়ে?”
আমার প্রতিক্ষা চলে অবসরে!
অদৃষ্টের নিকট আমার গোপন আরতি
কভু যদি দেখি তোমার স্নিগ্ধ প্রসন্ন মূর্তি!
হেঁটেছি বহু পথ তোমার পিছু পিছু
শৈশবের রঙিন ফুল ধরা যদি দেয় বা কিছু!
বিনিময়ে দিয়াছ কটাক্ষ দৃষ্টি
আর নির্মম অপমান!
হায় অনাসৃষ্টি,
আমার হৃদয় ভেঙে করেছ খানখান্!
তাই আর আমি সৌন্দর্য্য দেখি না,
আমার কাছে যার অন্য ডেফিনিশন!
আমারে আমি বদলে দিয়েছি,
বেদনা আমায় করেছে
অসীম নিয়ন্ত্রণ।
জীবন তো নয় চলচ্চিত্র,
বিড়ি-মাদকের হই নি আমি ভৃত্য।
ছেড়েছি ফেসবুক, ছেড়েছি মেসেন্জার
ইন্টারনেট করে বিচ্ছিন্ন বিদায় কম্পিউটার!
ঝড়ের আঘাতে জীবন হল বাস্তবতা,
দূর করে সকল ইল্যুশন(ভ্রম নয়)!
আমার দর্শন, আমার কল্পনা,
ভেঙে চুরে গড়েছে আমায়, দিয়ে নতুনতা।
তোমায় ঘিরে আঁধারের মেঘ দূরীভূত হয়ে
আমি পেয়েছি পরিচ্ছন্ন মনন্।
হেঁটে চলি আমি,
হেঁটে চলে বহমান জীবন!
সেইন্ট আতিক
পাঠকক্ষ, শহীদুল্লাহ হল,
১৮ জৈষ্ঠ্য ১৪১৬
If Unicode Bangla is not displayed correctly in your browser follow here.
No comments:
Post a Comment