রাতভর সঙ্গীদের নিয়ে মদগাঁজা খাই
তাতে কে বলবে কি?!
শুধু ঠিকঠিক বলবে কুৎসিত মোটা টিকটিকি!
সাউন্ড-সিস্টেমটা ছেড়ে দিয়ে গভীর রাতে
করি অনুপম নৃত্য;
“আয়, তোরা কে কি বলবি ওরে আমার ভৃত্য !”
আমার নিদ্রাকালে হয় যদি টু-শব্দটা
মাফ চেয়ে ক্ষমা পাবে? কার আছে বুকের পাটা!
সে হোক ব্যাচম্যাট, কিংবা ব্লাডি জুনিয়র।
ঘুম ভেঙ্গে কখনো সকাল দেখি না,
দেখি বেলা দ্বিপ্রহর!
মধুর আবেশে চেখে দেখি ক্যান্টিন-
ম্যাসের খাবারের সারি
ভেবে দেখি ক্যান্টিনের চাঁদা ডাবল করব কিনা।
খাবার আমার রুমেই আসে,
আহারের কারণে ক্যান্টিনে আমি যাই না।
যদিবা কখন,
হেঁটে হেঁটে গিয়ে সেখানে করি অবতরণ
সব জুনিয়র নতজানু হয়ে হাতে হাত মিলিয়ে,
সালামে সালামে করবে আমায় বরণ।
আমার ক্ষমতাবাণ আঙুলের ইশারায়-
কারে রাখি গণরুমে, কারে ডাবলিং
কারে করে সিঙ্গেল।
কঠিন হিসেব কষে কষে কে কতটুকু
মেরেছিল তেল!
আমরা (সংখ্যালঘু) থাকি একা এক রুমে
শিষ্যরাও সিঙ্গেল্।
গাদাগাদি করে তবু মরার মত
হলে পড়ে থাকে নন-পলিটিক্যাল(সংখ্যাগরিষ্ঠ)!
নন-পলিটিক্যাল স্টুডেন্ট—
অনুরোধ করতে আসে আমায়
হয়ে গেলে প্রুডেন্ট!
সবাই জানে বড় মিষ্ট আমার ব্যবহার
কৌশলে ঠিকই বাঁশ দিয়ে দেই
অরাজনৈতিকতার!
নৈশ আকাশের নক্ষত্রের দেখতে দেখতে পতন
বিড়িমুখে ঢুকলাম গেষ্টরুমে যখন!
শুনি
“সিট ছাড়ব না”
বলছে নন-পলিটিক্যাল।
এ হলে ছাত্রের এ স্পর্ধা অসমান,
আমি ছাত্রনেতা, আমি সবচেয়ে মূল্যবান!
এক ফালি কাঠ দিয়ে ঠ্যাঙ ভেঙ্গে
ভেঙ্গে হাত বশ করাতে পারলাম না,
শালা আজব ক্যামিকেল!
“মেডিকেলে দিস না” জুনিয়রদের বলে
হাওয়া খেতে এলাম পুকুর পাড়েতে!
রাতের মিটিংয়ে সব নেতারা দেয় আমাকে বাহ! বা!
“কমিটিতে পদ নেতা তুমি অবশ্যই পাবা! চিয়ারস্!”
মিটিং শেষ হলে
ফিরে আসি আমার অন্দরমহলে
নব সম্ভাবনার কল্পনায় আমি নিদ্রা যাই গভীর সুখে।
ঘুম ভাঙলে (ডিস্টার্বেন্স!) অশ্রাব্য গালি দিয়ে যাই থেমে,
দশদিক থেকে আসছে এমন প্রলয়ংকরী হুংকার!
“পলিটিক্যালের চামড়া তুলে নেব আমরা।“
আমি উত্তাপে গেছি ঘেমে
দাউদাউ জ্বলছে আমার অধিকৃত কক্ষের দোর, বাতায়ন,
হাওয়ায় হাওয়ায় উস্কে যাচ্ছে
প্রথম সভ্যতার আনয়নকারী আগুন!
(Applies to corrupted politicians only.)
সেইন্ট আতিক
জুলাই ২০০৯ ইং
If Unicode Bangla is not displayed correctly in your browser follow here.
No comments:
Post a Comment