This blog have moved to FFTsys's domain. Newer posts will appear on the new URL of the blog. Thanks for visiting.

Wednesday, March 31, 2010

প্রথম দর্শন (First Sight)

দেখি নি অন্তরুপ শুনি নি অনুভুতির কথা,
তবু প্রথম দর্শনেই আবেগের স্রোতধারা,
     হৃদয়ে সুখ-সুখ ব্যথা।

অথচ, ভালবাসা হলে নাকি এমনি হয়
সময়ের গতি হয়ে যায় স্লথ,
দিকব্যাপী শব্দের দূষণ রয়ে যায় অশ্রুত,
তার উচ্চারিত একখানি ধ্বনির জন্য
     হৃদয় কান পেতে রয়।

নও বন্ধু, নও আত্মীয় হে অচেনা,
মনে হয় নি তবু কিছু বাকি আছে জানা।
জানি না তোমার সংস্কৃতি, ধর্ম, জন্মভূমি,
মানব প্রেম সর্বঊর্ধ্বে, বাকি সব গোঁড়ামি।

জানি জানি,
ভালবাসা হলে পাপী হতে পারে ন্যায়ের আধার
মিথ্যুক হয়ে যেতে পারে সত্যের অবতার!
তাই নিস্পৃহ এ অস্তিত্বে আজ স্পৃহার জোয়ার,
একই ছন্দে ছুটে চলে দেহের প্রতিটি রক্তকণিকা,
একই তাল, একই নৃত্য, একই ছন্দ, একই ঝংকার
আমার অনুভব, আমার হৃদ-স্পন্দন,
আনন্দে আনন্দে অনুরণিত আমার প্রতিটি নিউরন,
     শুধু তুমি, তুমি। তুমি।



সেইন্ট আতিক
৩০ মার্চ ২০১০

Monday, March 22, 2010

Matir Moina (The Clay Bird) and Download Links

Watch this international award winning awesome Bangla Movie "Matir Moina".


View detail info on imdb: http://www.imdb.com/title/tt0319836/

Download Links

Mediafire resumable download links first:

http://www.mediafire.com/file/xmzky3iz2xy/TS.MM.By.TuhiN.TeaM.SparkaR.avi.001
http://www.mediafire.com/file/dxwmnnminzc/TS.MM.By.TuhiN.TeaM.SparkaR.avi.002
http://www.mediafire.com/file/spdtmmntjfu/TS.MM.By.TuhiN.TeaM.SparkaR.avi.003
http://www.mediafire.com/file/igsgud490mj/TS.MM.By.TuhiN.TeaM.SparkaR.avi.004
http://www.mediafire.com/file/mi2xq5soqa7/TS.MM.By.TuhiN.TeaM.SparkaR.avi.005
http://www.mediafire.com/file/d13h2xgrbdm/TS.MM.By.TuhiN.TeaM.SparkaR.avi.006
http://www.mediafire.com/file/nctmwn9r9sz/TS.MM.By.TuhiN.TeaM.SparkaR.avi.007
http://www.mediafire.com/file/txzzzgdzkbt/TS.MM.By.TuhiN.TeaM.SparkaR.avi.008


To join downloaded files use hjsplit software.

Rapidshare links here:


http://rapidshare.com/files/219936559/TS.MM.By.TuhiN.TeaM.SparkaR.avi.001
http://rapidshare.com/files/219936635/TS.MM.By.TuhiN.TeaM.SparkaR.avi.002
http://rapidshare.com/files/219937203/TS.MM.By.TuhiN.TeaM.SparkaR.avi.003
http://rapidshare.com/files/219937292/TS.MM.By.TuhiN.TeaM.SparkaR.avi.004


Screenshots



Review on Matir Moina (The Clay Bird)
Matir Moina raises the common questions about religions like Islam.

The movie opens with the scene of a Madrasa where a new child has got admitted. The other children of Madrasas start their very morning with reading Qurans like parrots. They know they have to memorize it though they don’t understand a single word. The question is: what is the benefit of this blind reading some alien lines and verses?

Another point is, the world has thousands religions because every religion that was evolved never went away. To know about only one religion from the childhood is to narrowing the way to truth and a resistance of mind and hatreds to other religions. Is this any good? What do you say?

Next the movie enters into the child’s family. The father is an alopathy medicine adopter. The mother is a typical housewife of agrarian society. The whole family has adopted Islam recently. The father got a very resistive mind cohering to the fundamentals of the religion Islam. He gets angry if he sees anything with his son and family not strictly conveying to the religion. So when he hears his son and brother went to enjoy some Hindu rituals he admonishes them. I feel a sheer hatred that every strict follower of a religion bears in his mind for non-believers or other followers. When he gets a chance he doesn’t stop himself to show it.

In other side the child passes a banal period in Madrasa when he could have some nice times with his family and learn in spontaneous manner. But now he has got to lead an ascetic life in the Madrasa. The name of the child is Anu. Huzur modifies his name from Anu to Anwar because he thinks it is not Islamic name.

The father goes to Estema/Tablig. I wonder why some people goes to Tablig always. There are cases when family should be taken care of. With the indifference of the father the children’s futures can be in fix. Well, I shouldn’t go out of the scope of the film.

In Islam any kind of musical works are banned. The great baul philosophers compose their song with unique lyrics and music. When Anu’s mother gets a chance to hear such a nice event she rather gets restrained if Kazi(her husband) minds. The daughter insists to go. And we get a chance to enjoy a nice baul song.



Lyrics of Song 1

পাখিটা বন্দি আছে দেহের খাঁচায়।
ও তার ভবের বেরী পায় জড়ানো
উড়তে গেলে পড়িয়া যায়।
দেখলে পড়ে জুড়ায় আঁখি,
নানান রঙের নানান পাখি
আকাশেতে উইড়া বেড়ায়
ও তার ভবের বেরী পায় জড়ানো
উড়তে গেলে পড়িয়া যায়।
পাখিটা বন্দি আছে দেহের খাঁচায়।

কাঁচা বাঁশের ঘরটা ফেইলা
ময়না পাখি পাখা মেইলা
তাদের সাথে মিশিতে চায়।
ও তার ভবের বেরী পায় জড়ানো
উড়তে গেলে পড়িয়া যায়।
পাখিটা বন্দি আছে দেহের খাঁচায়।

মাটির তৈরী ময়না বলে
তইলে কেনে মনটা দিলে?
না দিলে জোর যদি ডানায়!

The daughter of Kazi dies in lack of good medicine. The superstitious medicine of Kazi which works combined with dua’s are just proved fake. And Kazi leaves that kind of alopathy distribution which was a wise decision. Losing a daughter is enough to open the eyes.


Lyrics of Song 2

যদি বেহেস্তে যাইতে চাও গো
অন্তরে রাইখো আল্লাহর ডর।
যদি আল্লাহর সন্ধান চাও গো
প্রেম রাখিও অন্তরের ভিতর।

আমি আপনার মেয়ের বয়সি, শরিয়তের হইয়া
মারিফতের বিষয় কিছু সওয়াল যাব গাইয়া
বেয়াদবি নেবেন না দেইখা আমার ভাণ
হাদিস-কোরাণ মানেন না, কেমন মুসলমান?
মোল্লা-মুন্সি ক্ষ্যাপা কেন, আপনাদের উপরগো?
অন্তরে রাইখো আল্লাহর ডর।

কোরান-হাদিস বুঝতে কিছু জ্ঞানের প্রয়োজন
দুই পারা ছিপারা পইড়া বুঝবে কি মদন,
নিজেরাই বোঝেনা, অন্যরে বোঝায়
সব লোকেরে ভুল বুঝাইয়া কাঠমোল্লারা খায়।
বেহেস্তের লোভ করিনা, নাই দোজখের ডর গো
প্রেম রাখিও অন্তরের ভিতর।

ফকিরেরা জিকির করে নামাজ ফাঁকি দিয়া
রোজার দিনে গাঁজা টানে ধ্যানের-ই নাম নিয়া
হজ্জ্ব জাকাত করেন না, না হয় নিলাম মানি
কি প্রবলেম করছে আপনার বলেন কোরবাণী?
রক্ত দেখলে কাপঁবে কেন, মুসলিমের অন্তর গো
অন্তরে রাইখো আল্লাহর ডর।

কুরবাণী করিতে হুকুম প্রাণ প্রিয় ধণ
গরু ছাগল হইলো কি তোর এতই প্রিয়জন?
নিজের থাইকে প্রিয় বস্তু আর যে কিছু নাই
আত্মত্যাগই আসল কুরবান জেনে নিও ভাই
দশ ইন্দ্রিয় ছয়টি রিপু পারলে দমন কর গো
প্রেম রাখিও অন্তরের ভিতর।

ছেড়ী নিয়া বেড়ান ঘুরি, নিকাহ না করিয়া
একসাথে নাচেন গান, বেপর্দা হইয়া
পুরুষ পোলার জন্য বাহির, নারীর জন্যে ঘরগো
অন্তরে রাইখো আল্লাহর ডর।

মাইয়া হইলো আদি বস্তু, সৃষ্টি যারে দিয়া
ভেদাভেদ করে যারা, তারাই করে বিয়া
মাইয়া হয় প্রেমের ভান্ড, মাইয়া হইলো মা,
মাইয়া না হইলে ভবে আমরা আসতাম না
সৃষ্টি করতে দোনোই লাগে, নারী এবং নর গো
প্রেম রাখিও অন্তরের ভিতর।

যদি আল্লাহর সন্ধান চাও গো
প্রেম রাখিও অন্তরের ভিতর।

Beliefs like a muslim will never hurt another muslim doesn’t work till end. The Pakistani hayenas attack brutally and helps bring the war strongly. Lives of people get changed. But the fundamentalism is a strong disease. It stays with incorrigible Kazi. Others leave either to fight or for safe place.

There are so many things that the movie captures. I’m just giving some conclusive words. The movie successfully shows the relation between war, society, human life.

Matir Moina simply proves the religions are craps. You believe it hard, you lose your dear people’s love and keeps the reality far beyond your belief. Religion gifts you a complete illusive life.

Sunday, March 14, 2010

বাংলা কবিতা: নাস্তিক (Atheist by Nirmalendu Goon)

          -- নির্মলেন্দু গুণ

নেই স্বর্গলোভ কিংবা কল্প-নরকের ভয়,
অলীক সাফল্যমুক্ত কর্মময় পৃথিবী আমার৷

চর্মচোখে যা যা দেখি, শারীরিক ইন্দ্রিয় যা ধরে,
তাকেই গ্রহন করি৷ জানি, নিরাকার অপ্রত্যক্ষ
শুধুই ছলনা, বিশ্বাস করি না ভাগ্যে, দেবতার বরে৷

আমার জগৎ মুগ্ধ বাস্তবের বস্তুপুঞ্জে ঠাসা,
তাই সে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য, অতীন্দ্রিয় নয়৷
অন্ধতার বধ্যভূমি আমার হৃদয়৷

সেই শ্রেষ্ঠ মানব-সন্তান, যার মন মুক্ত ভগবান৷
আমার মস্তক নিত্য নত সেই নাস্তিকের তরে৷


বিভিন্ন উৎসে কবিতাটি অস্তিত্বশীল থাকা সত্বেও আমার ব্লগের সংগ্রহশালায় যোগ করার লোভ সংবরণ করতে পারলাম না। কবিতার লাইনগুলো যতটা না নাস্তিকের ক্ষেত্রে সত্য তারও বেশী মুক্ত চিন্তার অগ্রপথিকদের ক্ষেত্রে সত্য। নাস্তিকতা আর মুক্তচিন্তার মাঝে তো আছেই দৃঢ় বন্ধন।

If Unicode Bangla is not displayed correctly in your browser follow here. [This blog is best viewed in font "Bangla". Click to download font.]

Tuesday, March 9, 2010

জাত গেল জাত গেল বলে

          -- লালন ফকির

জাত গেল জাত গেল বলে
একি আজব কারখানা
সত্য কাজে কেউ নয় রাজি
সবি দেখি তা না-না-না।।

আসবার কালে কি জাত ছিলে
এসে তুমি কি জাত নিলে,
কি জাত হবা যাবার কালে
সে কথা ভেবে বল না।।

ব্রাহ্মণ চন্ডাল চামার মুচি
এক জলেই সব হয় গো শুচি,
দেখে শুনে হয় না রুচি
যমে তো কাকেও ছাড়বে না।।

গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়,
তাতে ধর্মের কি ক্ষতি হয়।
লালন বলে জাত কারে কয়
এ ভ্রম তো গেল না।।


If Unicode Bangla is not displayed correctly in your browser follow here. [This blog is best viewed in font "Bangla". Click to download font.]

কি কালাম পাঠাইলেন আমার শাহী দয়াময়

          -- লালন ফকির

কি কালাম পাঠাইলেন আমার শাহী দয়াময়!
একেক দেশের একেক ভাষা কয় খোদা পাঠায়?

এক যুগে যা পাঠায় কালাম,
অন্য যুগে হয় কেন হারাম!
এমনি দেখি ভিন্ন তামাম! ভিন্ন দেখা যায়!
যদি একই খোদার হয় রচনা, তাতে তো ভিন্ন থাকে না!
মানুষের সকল রচনা, তাই যে ভিন্ন হয়!
কি কালাম পাঠাইলেন আমার শাহী দয়াময়!

একেক দেশের একেক বাণী,
পাঠান কি শায়-গুণমণি?
মানুষে রচিত জানি, মানুষে রচিত জানি লালন ফকির কয়!
ও হায়রে, লালন ফকির কয়!
কি কালাম পাঠাইলেন আমার শাহী দয়াময়!


লালন সাঁই শত বছর আগে কুরআন সম্পর্কে এই সত্য অনুধাবন করেছিলেন।

If Unicode Bangla is not displayed correctly in your browser follow here. [This blog is best viewed in font "Bangla". Click to download font.]

সূরা আল আহযাবঃ আয়াত ৪৯-৫২

আয়াত ৪৯: হে যারা ঈমান এনেছ! যখন তোমরা মুমিন নারীদেরকে বিবাহ কর, তারপর তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দিয়ে দাও, তখন তোমাদের জন্য তাদের উপর কোন ইদ্দত নেই যা তোমরা গণনা করবে। অতএব তোমরা তাদের কিছু ভোগের সামগ্রী দেবে এবং সদ্ভাবে তাদেরকে বিদায় দিবে।

আয়াত ৫০: হে নবী! আমি আপনার জন্য আপনার সেই স্ত্রীদেরকে হালাল করেছি যাদেরকে আপনি তাদের মহর প্রদান করেছেন এবং হালাল করেছি সেই নারীদেরকেও যাদেরকে আল্লাহ আপনার মালিকানাধীন করেছেন গনীমতরূপে; এবং বিবাহের জন্য হালাল করেছি আপনার চাচার কন্যা, আপনার ফুফুর কন্যা, আপনার মামার কন্যা, আপনার খালার কন্যাকে, যারা আপনার সাথে হিজরত করেছেন। আর কোন মু'মিন নারী যদি নবীর কাছে নিজেকে সমর্পন করে এবং নবী যদি তাকে বিবাহ করতে চান, তবে সেও হালাল। এ হুকুম শুধু আপনারই জন্য, অন্য মু'মিনদের জন্য নয়, যাতে আপনার কোন অসুবিধা না হয়। মু'মিনদের স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি, তা আমার জানা আছে। আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল; পরম দয়ালু।

আয়াত ৫১: আপনি আপনার পত্নীদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা কাছে রাখতে পারেন; আর আপনি যাকে দূরে রেখেছেন, তাকে পুনরায় চাইলে তাতে আপনার কোন গুনাহ নেই। এতে অধিক আশা করা যায় যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে, তারা দুঃখ পাবে না এবং আপনি তাদেরকে যা দেন তাতে তারা সবাই সন্তুষ্ট থাকবে। তোমাদের অন্তরে যা আছে আল্লাহ তা জানেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, পরম ধৈর্যশীল।

আয়াত ৫২: এরপর আপনার জন্য কোন নারী হালাল নয় এবং আপনাদের স্ত্রীদের পরিবর্তে অন্য নারী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে আপনার অধিকারভূক্ত দাসীদের ব্যাপার স্বতন্ত্র। আল্লাহ সকল কিছুর উপর সজাগ নজর রাখেন।
(সূরা আল আহযাবঃ আয়াত ৪৯-৫২)


*** মূল আরবী থেকে অনুবাদ করেছেনঃ ডঃ মুহাম্মাদ মুস্তাফিজুর রহমান ***

কৃতজ্ঞতা: নাস্তিকের ধর্মকথা

You can read english translation from here:
      33. Surah Al-Ahzab (The Confederates)

Monday, March 8, 2010

বাংলা কবিতা: সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে

আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
নষ্টদের দানবমুঠোতে ধরা পড়বে মানবিক
সব সংঘ-পরিষদ; চলে যাবে, অত্যন্ত উল্লাসে
চ‘লে যাবে এই সমাজ-সভ্যতা-সমস্ত দলিল-
নষ্টদের অধিকারে ধুয়েমুছে, যে-রকম রাষ্ট্র
আর রাষ্ট্রযন্ত্র দিকে দিকে চলে গেছে নষ্টদের
অধিকারে। চ‘লে যাবে শহর বন্দর ধানখেত
কালো মেঘ লাল শাড়ি শাদা চাঁদ পাখির পালক
মন্দির মসজিদ গির্জা সিনেগগ পবিত্র প্যাগোডা।
অস্ত্র আর গণতন্ত্র চ‘লে গেছে, জনতাও যাবে;
চাষার সমস্ত স্বপ্ন আস্তাকুড়ে ছুঁড়ে একদিন
সাধের সমাজতন্ত্রও নষ্টদের অধিকারে যাবে।

আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
কড়কড়ে রৌদ্র আর গোলগাল পূর্ণিমার চাঁদ
নদীরে পাগল করা ভাটিয়ালি খড়ের গম্বুজ
শ্রাবণের সব বৃষ্টি নষ্টদের অধিকারে যাবে।
রবীন্দ্রনাথের সব জ্যোৎস্না আর রবিশংকরের
সমস্ত আলাপ হৃদয়স্পন্দন গাথা ঠোঁটের আঙুর
ঘাইহরিণীর মাংসের চিৎকার মাঠের রাখাল
কাশবন একদিন নষ্টদের অধিকারে যাবে।
চলে যাবে সেই সব উপকথাঃ সৌন্দর্য-প্রতিভা-
মেধা; -এমনকি উন্মাদ ও নির্বোধদের প্রিয় অমরতা
নির্বাধ আর উন্মাদদের ভয়ানক কষ্ট দিয়ে
অত্যন্ত উল্লাসভরে নষ্টদের অধিকারে যাবে।

আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
সবচে সুন্দর মেয়ে দুইহাতে টেনে সারারাত
চুষবে নষ্টের লিঙ্গ; লম্পটের অশ্লীল উরুতে
গাঁথা থাকবে অপার্থিব সৌন্দর্যের দেবী। চ‘লে যাবে,
কিশোরীরা চ‘লে যাবে, আমাদের তীব্র প্রেমিকারা
ওষ্ঠ আর আলিঙ্গন ঘৃণা ক‘রে চ‘লে যাবে, নষ্টদের
উপপত্নী হবে। এই সব গ্রন্থ শ্লোক মুদ্রাযন্ত্র
শিশির বেহালা ধান রাজনীতি দোয়েলের স্বর
গদ্য পদ্য আমার সমস্ত ছাত্রী মার্ক্স-লেনিন,
আর বাঙলার বনের মত আমার শ্যামল কন্যা-
রাহুগ্রস্থ সভ্যতার অবশিষ্ট সামান্য আলোক-
আমি জানি তারা সব নষ্টদের অধিকারে যাবে


-- হুমায়ুন আজাদ

If Unicode Bangla is not displayed correctly in your browser follow here. [This blog is best viewed in font "Bangla". Click to download font.]

বাংলা কবিতা: আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে

আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে।
আমার খাদ্যে ছিলো অন্যদের আঙুলের দাগ,
আমার পানীয়তে ছিলো অন্যদের জীবাণু,
আমার নিশ্বাসে ছিলো অন্যদের ব্যাপক দূষণ।
আমি জন্মেছিলাম, আমি বেড়ে উঠেছিলাম,
আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে।

আমি দাঁড়াতে শিখেছিলাম অন্যদের মতো,
আমি হাঁটতে শিখেছিলাম অন্যদের মতো,
আমি পোশাক পরতে শিখেছিলাম অন্যদের মতো ক’রে,
আমি চুল আঁচড়াতে শিখেছিলাম অন্যদের মতো ক’রে,
আমি কথা বলতে শিখেছিলাম অন্যদের মতো।

তারা আমাকে তাদের মত দাঁড়াতে শিখিয়েছিলো,
তারা আমাকে তাদের মতো হাঁটার আদেশ দিয়েছিলো,
তারা আমাকে তাদের মতো পোশাক পরার নির্দেশ দিয়েছিলো,
তারা আমাকে বাধ্য করেছিলো তাদের মত চুল আঁচড়াতে,
তারা আমার মুখে গুঁজে দিয়েছিলো তাদের দূষিত কথামালা।
তারা আমাকে বাধ্য করেছিলো তাদের মত বাঁচতে।
আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে।

আমি আমার নিজস্ব ভঙ্গিতে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম,
আমি হাঁটতে চেয়েছিলাম নিজস্ব ভঙ্গিতে,
আমি পোশাক পরতে চেয়েছিলাম একান্ত আপন রীতিতে,
আমি চুল আঁচড়াতে চেয়েছিলাম নিজের রীতিতে,
আমি উচ্চারণ করতে চেয়েছিলাম আমার আন্তর মৌলিক মাতৃভাষা।
আমি নিতে চেয়েছিলাম নিজের নিশ্বাস।

আমি আহার করতে চেয়েছিলাম আমার একান্ত মোলিক খাদ্য,
আমি পান করতে চেয়েছিলাম আমার মৌলিক পানীয়।
আমি ভুল সময়ে জন্মেছিলাম। আমার সময় তখনো আসে নি।
আমি ভুল বৃক্ষে ফুটেছিলাম। আমার বৃক্ষ কখনো অঙ্কুরিত হয় নি।
আমি ভুল নদীতে স্রোত হয়ে বয়েছিলাম। আমার নদী তখনো উৎপন্ন হয় নি।
আমি ভুল মেঘে ভেসে বেরিয়েছিলাম। আমার মেঘ তখনো আকাশে জমে নি।
আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে।

আমি গান গাইতে চেয়েছিলাম আমার আপন সুরে,
ওরা আমার কন্ঠে পুরে দিতে চেয়েছিলো ওদের শ্যাওলাপড়া সুর।
আমি আমার মতো স্বপ্ন দেখতে চেয়েছিলাম,
ওরা আমাকে বাধ্য করেছিলো ওদের মত ময়লাধরা স্বপ্ন দেখতে।
আমি আমার মতো দাঁড়াতে চেয়েছিলাম.
ওরা আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলো ওদের মত মাথা নিচু ক’রে দাঁড়াতে।
আমি আমার মতো কথা বলতে চেয়েছিলাম,
ওরা আমার মুখে ঢুকিয়ে দিতে চেয়েছিলো ওদের শব্দ ও বাক্যের আবর্জনা।
আমি খুব ভেতরে ঢুকতে চেয়েছিলাম,
ওরা আমাকে ওদের মতোই দাঁড়িয়ে থাকতে বলেছিলো বাইরে।
ওরা মুখে এক টুকরো বাসি মাংস পাওয়াকে ভাবতো সাফল্য,
ওরা নতজানু হওয়াকে ভাবতো গৌরব,
ওরা পিঠের কুঁজকে মনে করতো পদক,
ওরা গলার শেকলকে মনে করতো অমূল্য অলঙ্কার।

আমি মাংসের টুকরো থেকে দূরে ছিলাম। এটা ওদের সহ্য হয় নি।
আমি নতজানু হওয়ার বদলে বুকে ছুরিকাকে সাদর করেছিলাম।
এটা ওদের সহ্য হয় নি।
আমি গলার বদলে হাতেপায়ে শেকল পরেছিলাম। এটা ওদের সহ্য হয় নি।
আমি অন্যদের সময়ে বেঁচে ছিলাম। আমার সময় তখনো আসে নি।

ওদের পুকুরে প্রথাগত মাছের কোন অভাব ছিলো না,
ওদের জমিতে অভাব ছিলো না প্রথাগত শস্য ও শব্জির,
ওদের উদ্যানে ছিলো প্রথাগত পুষ্পের উল্লাস।

আমি ওদের সময়ে আমার মতো দিঘি খুঁড়েছিলাম ব’লে
আমার দিঘিতে পানি ওঠে নি।
আমি ওদের সময়ে আমার মত চাষ করেছিলাম ব’লে
আমার জমিতে শস্য জন্মে নি।
আমি ওদের সময়ে আমার মতো বাগান করতে চেয়েছিলাম ব’লে
আমার ভবিষ্যতের বিশাল বাগানে একটিও ফুল ফোটে নি।
তখনো আমার দিঘির জন্যে পানি উৎসারণের সময় আসে নি।
তখনো আমার জমির জন্যে নতুন ফসলের সময় আসে নি।
তখনো আমার বাগানের জন্যে অভিনব ফুলের মরশুম আসে নি।
আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে।

আমার সব কিছু পর্যবসিত হয়েছে ভবিষ্যতের মতো ব্যর্থতায়,
ওরা ভ’রে উঠেছে বর্তমানের মতো সাফল্যে।
ওরা যে-ফুল তুলতে চেয়েছে, তা তুলে এনেছে নখ দিয়ে ছিঁড়েফেড়ে।
আমি শুধু স্বপ্নে দেখেছি আশ্চর্য ফুল।
ওরা যে-তরুণীকে জড়িয়ে ধরতে চেয়েছে, তাকে জড়িয়ে ধরেছে দস্যুর মতো।
আমার তরুণীকে আমি জড়িয়ে ধরেছি শুধু স্বপ্নে।
ওরা যে নারীকে কামনা করেছে, তাকে ওরা বধ করেছে বাহুতে চেপে।
আমার নারীকে আমি পেয়েছি শুধু স্বপ্নে।
চুম্বনে ওরা ব্যবহার করেছে নেকড়ের মতো দাঁত।
আমি শুধু স্বপ্নে বাড়িয়েছি ওষ্ঠ।
আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে।

আমার চোখ যা দেখতে চেয়েছিলো, তা দেখতে পায় নি।
তখনো আমার সময় আসে নি।
আমার পা যে-পথে চলতে চেয়েছিলো, সে-পথে চলতে পারে নি।
তখনো আমার সময় আসে নি।
আমার ত্বক যার ছোঁয়া পেতে চেয়েছিলো, তার ছোঁয়া পায় নি।
তখনো আমার সময় আসে নি।
আমি যে-পৃথিবীকে চেয়েছিলাম, তাকে আমি পাই নি।
তখনো আমার সময় আসে নি। তখনো আমার সময় আসে নি।
আমি বেঁচেছিলাম
      অন্যদের সময়ে।



        -- হুমায়ুন আজাদ

If Unicode Bangla is not displayed correctly in your browser follow here. [This blog is best viewed in font "Bangla". Click to download font.]

Absolute Belief, The Truth about Religions


Non-religious concepts

Most people get a religion after their birth for completely free. Children are taught things by their parents or other people, resources from their environment. They are obviously diverted to a religion. Most religions have a base book or books which is also called divine book of that religion. The followers of those religions believe their books after all.

There are thousands of religions in this world. Check the following link for detailed list on religions.
     http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_religions

Different people have different religions. Majors are Christian, Islam etc. The followers think that their religion is the ultimate truth to life. For example, Christians think that their bible is the only true thing in the world, same goes for Quran of Muslims. Same happens for other religions. They claim that their individual books are from the God. For example a muslim (follower of Islam) will think that only Islam and Quran is the truth. Same might think the Christian. All believers of other religions also claim the same thing of their own.

So are all religions true? Christians know that only their bible and the religion is true and all others like Quran and other religions are wrong because one religion comes from God and not all religions are true. Same way thinks Muslims that their book Quran is true and all others false! Respectively other people believe their own religion and deny others.

Let’s dig a little bit deeper. There is only one God. Then one religion that he had created for human being should be the absolute truth.

Is there only one religion in the universe? I think no. And every follower of every religion claims for their God in own ways and says that their book is truth.

Hence neither a religion is true nor its books.
God didn’t create religions. He didn’t create divisions on the mankind. All religions are self-claimed and therefore completely false.

It’s a general statement. There are thousands of proofs against every divine book that each is wrong! No book ever came from God! Why don’t give a try? Search with keywords contradictions in quran, contradictions in bible etc using a search engine.

Polytheism
Monotheists, how do you deny polytheism?

     1. As you are theist you believe in God. But you didn’t see him all alone. Right?
    2. Monotheist people generally would say if there were multiple God/Goddess or deities they’d have ruined the entire world to take the possession. Universe could never run in such harmony!

     How do you know that Gods or those heavenly existences would fight each other. Gods are the wisest and prudent ever. They can obviously be in harmony of power!

If you believe monotheism you are admitting polytheism with tacit approval.


Not a conclusion really
  • Thousand lies to protect one lie. That’s what religion is! And lie is poison. If you see the destruction/conflicts occurred by religious groups, if you look at the history you’d be astonished!

  • Children shouldn’t be taught religions. Teach them the right thing not bogus religions. It doesn’t require mess of religions to understand what right is and what wrong is!

  • Stand for mankind not for religion.

  • The modern world is adopting Secularism where religions will have no effects on administration or politics. I hope you know how badly affected the civilization is by the religion politics.

  • Here is a statistics of beliefs followed by people. People are coming out to light from darkness. The graph shows an improvement.



Image source [Click image to enlarge]

বাংলা কবিতা: এশ্বরিক (Theistic)

আমার জন্ম বাংলাদেশে,
কত দেশ ছিল ধরণীর পটে,
কত ভাষা ছিল তল্লাটে তল্লাটে,
তবু আমি এসেছি বাঙালির দেশে।

জাতি-স্বাধীনতার আমেরিকা বা কুংফুর চীন,
লেনিনের রাশিয়া কিংবা রাণীর ইংল্যান্ড
আমার জন্ম হতেও পারত হল্যান্ড!

মসজিদ, মন্দির, গীর্জা যত ধর্মালয়,
কার অনুসারী হব সেইত জন্মের বিস্ময়!
পূর্ব-পুরুষের অজ্ঞতায় আমি কেন হব ক্ষয়?

হতে পারি ধার্মিক, হতে পারি চরমপন্হী
      কিংবা শান্তির নীড়!
‘মেরিকায় আগমন হলে হয়ত শাসন করতাম বাঙালির!
আমার ভাষা শিখতে পড়ে যেত ধুম
      কার ভাষা শ্রেষ্ঠ? হাহাকার বুমবুম!

সবার ভাষা-বুলি, বিশ্বাস-সংস্কৃতি
সবার কাছেই চির অমলীন!

মানুষের রোগশোকে ঈশ্বরের কি আসে যায়?
রাস্তায় রাস্তায় নিকৃষ্টের মত পড়ে থাকে মানুষ
      বিশ্বাস-সংস্কৃতি-ঈশ্বরবিহীন!

রোগমুক্ত হলে তুমি কর হাজার গায়েবী শুক্রিয়া!
গায়েব তবে কি তোমায় যথেষ্ট ভোগায় নি অসুখ দিয়া?

বিপদে প্রভুর নাম জপে অসহায় ধর্মানুসারীগণ
৯৯ অনাদরে পড়ে থাকে; সাহায্য পান কেবল একজন!
যত কর প্রার্থনা, হাত পায়ে তুলে ফেল ছাতা,
দূরীভূত হবে না বৈশ্বিক উষ্ঞতা।

অজ্ঞতার রাজত্বে কুঞ্চিত ধরণী,
ডুবে যায় সকল আলোক তরণী।
সেই অজ্ঞতারে কেউ করলে উপহাস
নির্বাক প্রভু চেয়ে চেয়ে দেখেন,
      অকাতরে পড়তে থাকে লাশের পর লাশ!



সেইন্ট আতিক
ফেব্রুয়ারী + সেপ্টেম্বর, ২০১০